বিয়ে নিয়ে ভাবছেন? ভাবতে থাকুন!! (আপডেট) আপনার স্টাটাস জানান॥
আজ আপনাদের সাথে একটা পুরোনো বিষয় হিস্ সা করবো। বিষয়টা হল বিয়ে। বিয়ে নাকি সব সময়ই মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ১৫টি উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের প্রায় ৩৪ হাজার ৫০০ নাগরিকের ওপর এ নিয়ে এক গবেষণা চালানো হয়। এ গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, বিবাহিতরা অবিবাহিতদের চেয়ে অনেক বেশি সুস্থ ও সুখী। তাদের মানসিক অবস্থাও অবিবাহিতদের চেয়ে অনেক ভালো। গবেষণায় একটি মজার তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তা হলো, বিয়ের মাধ্যমে পুরুষেরা নারীর চেয়ে বেশি উপকৃত হন। অবিবাহিতরা বিবাহিতদের চেয়ে বেশি মানসিক অস্থিরতা ও বিষণ্নতায় আক্রান্ত হন। নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক কেইট স্কট গবেষণার পর এসব তথ্য জানান। স্কট বলেন, “আমরা আমাদের গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছি, বিয়ে সব সময়ই মানুষকে মানসিক প্রশান্তি দিয়ে থাকে। এতে নারী ও পুরুষ উভয়েই স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে লাভবান হন। বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে গেলে মানুষের মানসিক বৈকল্যের আশঙ্কা দেখা দেয়।” বিয়ের পর সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া, স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যু হলে মানুষকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে দেয়। প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে মেয়েরা অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন বলে এ গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। এর কারণ হিসেবে মেয়েদের বিবাহোত্তর দায়-দায়িত্ব পুরুষের চেয়ে বেশি হওয়াকে দায়ী করা হয়েছে। বিয়ে মানুষকে পারিবারিকভাবে অনেক বেশি দায়িত্বসচেতন ও নিয়মানুবর্তিতার বন্ধনে আবদ্ধ করে। বিয়ের পর অনেকেই ধূমপান ও মদ্যপানের হার কমিয়ে দেন। যখন কারও বাবা কিংবা মা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়, তখন আরও বেশি দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা তৈরি হয়॥ দৈনিক প্রথমআলো২০০৯।
এখন আপনারা যারা বিয়ে করতে চান, তারা নিচের টিপসটি দেখতে পারেনঃ
একটু নিচে দেখুন:
\
\
\
\
\
\
\
\
\
\
\
আরেকটু নিচে নামুন___
\
\
\
\
\
\
\
\
\
\
\
আর একটু নিচে
\
\
\
\
\
\
\
\
\
\
\
আর একটু
\
\
\
\
\
\
\
\
\
\
\টিপসঃ বিয়ে করতে হলে আপনাকে
এতখানি নিচে নামতে হবে।
যা হোক,
বিয়ে করবেন গুড, না করবেন ভেরী গুড।
আমি বলিঃ আসুন আমরা ভেরী গুড থাকার চেষ্টা করি।
\
কিভাবে?
কেউ বিয়ে করবেননা।
প্রশ্ন থাকতে পারে’ কেন?
উত্তর দেখতে আর নিচে নামতে হবেনা, শুধু গল্পটা দেখলেই কেন’র উত্তর পেয়ে যাবেন।
\
¤¤¤¤¤¤¤গল্পঃ বিয়ে¤¤¤¤¤¤¤
বাবা ও ছেলে মিলে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গেল। ছেলের বয়স ৬কি৭ বছর হবে। ঘুরতে ঘুরতে ছেলেটি দেখে একটি মহিলা গাঁধা শুয়ে আছে। একটা পুরুষ গাঁধা মাদী(মহিলা) গাঁধার গা চেঁটে দিচ্ছে। ছেলেটি সহসাই তার বাবাকে প্রশ্ন করেঃ “বাবা, ওই গাঁধা আর গাঁধীটা কি স্বামী-স্ত্রী?”
বাবা একটা সিগারেটে আগুন দিতে দিতে বললেনঃ “হতে পারে”।
ছেলে অবাক হয়ে বলেঃ “ বাবা, গাঁধারাও বিয়ে করে?” অবুঝ ছেলের কথা শুনে বাবার মন যেন কিছুক্ষনের জন্য কোথাও হারিয়ে গেল। সিনেমার রিলের ছবি যেমন সাদা পর্দার উপর ভেসে উঠে, হয়তো তেমন করে তার জীবনের ফেলে আসা সর্বশেষ ১৬ বছরের (বিবাহোত্তর) স্মৃতিগুলো নিজের চোখের সামনে রিলের মত খটখট খটখট শব্দ করে ভেসে উঠছিল!!
বাবার নীরবতা দেখে ছেলে আবার বলেঃ “কি বাবা? জানো না?”
বাবা কিছু সময় খরচ করে শান্তভাবে জবাব দেয়ঃ “জানি বাবা, আমিই সবচেযে ভাল জানি। একমাত্র গাঁধারাই বিয়ে করে”॥
ছোট্ট বালক কি বুঝলো জানা যায়নি। আপনারা কি বুঝলেন? নাকি বুঝলেন কি বুঝলেননা, তাও বুঝেননি ? হিঃ:-D হিঃ:-D হিঃ:-D
যদি বুঝে থাকেন তাহলে আপনার বর্তমান ক্যাটেগরি জানাতে ভুলবেন না যেন ।
আপডেট করা অংশঃদাম্পত্য জীবনে শতজটিলতা সত্ত্বেও এর উপকারিতা অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানীরা আবারও তা প্রমাণ করলেন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ের কারণে হৃদযন্ত্রে জটিল অস্ত্রোপচারের পরও আপনি বেঁচে যাবেন। পুরুষের চেয়ে নারীদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সুখী দাম্পত্য জীবনের প্রভাব বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের রোচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ওই গবেষণা চালিয়েছেন। দেখা গেছে বিবাহিত দম্পতির হৃদযন্ত্রের জটিল অস্ত্রোপচারের পরও বেঁচে যাওয়ার হার তিন গুণ বেশি। এক্ষেত্রে অবশ্য নারীদের লাভটাই বেশি। সুখী দাম্পত্য জীবনের কারণে নারীদের সুস্থ থাকার হার বেড়ে যায়। গবেষকরা বলছেন, বৈবাহিক পরম সুখের জন্য যে অর্থ ব্যয় করা হয় সে ক্ষেত্রেও পুরুষের চেয়ে নারীরাই অধিকতর তৃপ্ত। গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ক্যাথলিন কিং বলেন, ‘একটা ভালো সম্পর্ক মানুষকে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে সাহায্য করে। সবচেয়ে অবাক করার ব্যাপার হলো, সুখী দাম্পত্য জীবনের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, মেদ ও ধূমপানের আসক্তির মাত্রাও অনেকাংশে হ্রাস পায়। অসুখী দাম্পত্য জীবনের চেয়ে এটি প্রায় চার গুণ বেশি। গবেষক দল ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে হৃদযন্ত্রের বাইপাস সার্জারি হয়েছিল_এমন ২২৫ জনের ওপর গবেষণা চালান। এদের মধ্যে যারা বিবাহিত তারা জানিয়েছেন, তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়েছে। সার্জারির ১৫ বছর পরও দেখা গেছে, ৮৩ শতাংশ সুখী স্ত্রী এখনো বেঁচে আছেন। অসুখী স্ত্রীদের ক্ষেত্রে এই হার ২৮ শতাংশ। আর বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে তা আরো ২৭ শতাংশ কম ।
বিয়ে নিয়ে ভাবছেন? ভাবতে থাকুন!! (আপডেট) আপনার স্টাটাস জানান॥
Reviewed by Unknown
on
2:57 am
Rating:
No comments